Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

জমির খতিয়ান যাচাই করুন অনলাইনে !

জমির খতিয়ান যাচাই করুন অনলাইনে !

জমির মালিকানা প্রমাণের অন্যতম একটি ডকুমেন্ট খতিয়ান। সরকারী এ রেকর্ড জমির দালিলিক দখল এর প্রমান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারনত জেলা প্রশাসকের অফিস হতে খতিয়ান সংগ্রহ করতে হয়। তবে, এ পদ্ধতিতে বেশ ঝামেলা ও সময় অপচয় হয়। সরকারের অনলাইন কর্মসূচীতে তাই খতিয়ান প্রাপ্তি সেবাকে অনলাইনে রূপ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খুব সহজে ঘরে বসেই অনলাইনে খতিয়ান চেক করতে পারবেন। প্রয়োজনে তা ডাউনলোড করে বা প্রিন্ট করে সংগ্রহে রাখতে পারবেন।

অনলাইনে খতিয়ান বের করার পদ্ধতি

১। প্রথমে বিভাগ লেখা অপশন থেকে বিভাগ বাছাই করুন।

২। এরপর জেলা লেখা ঘরে ক্লিক করে আপনার জেলা নির্বাচন করুন।

৩। তারপর উপজেলা লেখা ঘরে ক্লিক করে , আপনার উপজেলার নামে ক্লিক করুন।

৪। সর্বশেষ, মৌজা লেখা ঘরে ক্লিক করে আপনার জমিটি যে মৌজায় অবস্থিত সেই মৌজার নামে ক্লিক করুন।

এখানে ক্লিক করে খতিয়ান যাচাই করুন।

চারটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন, যেমন-

১। খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ করে,

২। দাগ নম্বর দিয়ে সার্চ করে,

৩। জমির মালিকের নাম দিয়ে সার্চ করে এবং

৪। জমি মালিকের পিতা/স্বামীর নাম দিয়ে সার্চ করে।

উপরের চার পদ্ধতির যে পদ্ধতিতে আপনি সার্চ করতে চান, তা বাম পার্শ্বের গোল ঘরে ক্লিক করুন। এবার, আপনি যে পদ্ধতিতে ক্লিক করেছেন তার ঠিক নিচে একটি ছোট বক্সটি আসবে, বক্সটি পূরণ করুন।খতিয়ান নম্বর সিলেক্ট করে থাকলে খতিয়ান নম্বরটি বক্সে লিখুন, দাগ নম্বর সিলেক্ট করে থাকলে দাগ নম্বরটি বক্সে লিখুন, মালিকের নাম সিলেক্ট করে থাকলে মালিকের নাম বক্সে লিখুন, মালিকের পিতা/স্বামীর নাম সিলেক্ট করে থাকলে পিতা/স্বামীর নাম বক্সে লিখুন।

এবার সিকিউরিটি চেক করতে বক্সের নিচে দুটি সংখ্যা যোগ করতে বলা হবে। মূলত রোবট এবং মানুষের মধ্যে তফাৎ সনাক্ত করতে এ পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়। সংখ্যা দুটি যোগ করে যোগফল নিচের বক্সে লিখুন। সব কিছু সঠিক ভাবে পূরন করা হলে ‘খুজুন’ লেখা অপশনে ক্লিক করুন।

পেয়ে গেলেন আপনার খতিয়ান।

তবে, মনে রাখবেন এখনো সকল এলাকার খতিয়ান অনলাইনে নিবদ্ধন করা হয়নি। যে সব এলাকার অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে কেবল সে সব এলাকার খতিয়ান পাওয়া যাবে অনলাইনে। কোন কারনে আপনার এলাকার খতিয়ান না পেলে অপেক্ষা করুন, আর অপেক্ষার ফল নাকি অনেক মিষ্টি হয় !

Facebook
Twitter
LinkedIn

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভাড়া চুক্তিপত্র

দোকান / বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া চুক্তিপত্র নমুনা

বাড়ি ভাড়া বা দোকান ভাড়া দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে সু-নির্দিষ্ট চুক্তি থাকা আবশ্যক। উক্ত চুক্তি পত্রে উভয়ৈর দ্বায়িত্ব – কর্তব্য এবং আর্থিক লেনদেনর বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়। চুক্তি মেয়াদ শুরু, চুক্তি মেয়াদ শেষ এবং উপ-ভাড়াটিয়া নিয়োগ ও সার্ভিস চার্জ প্রদানের মতো সুক্ষ বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে দু-পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে নিতে হয়। ভাড়া চুক্তির মধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ না থাকে ভাড়া দাতা এবং ভাড়াটিয়া দুজনের মধ্যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ঝামেলার সৃষ্টি হয়। একটি আদর্শ ভাড়া চুক্তির নমুনা এখানে দেয়া হল আমাদের পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে।

Read More »
দেনমোহর আদায়

দেনমোহর আদায় করবেন কিভাবে ?

আমাদের সমাজে দেখা যায় বিয়েতে দেনমোহর নগদ পরিশোধের ব্যাপারটি সরাসরি উপেক্ষা করা হয়। হাতে গোনা কয়েকটা বিয়ে ছাড়া নগদ দেনমোহর আদায় এর উদাহরন খুব কম। অনেকে আবার দেনমোহর দেয়া দূরের কথা বিয়েতে দেয়া বিভিন্ন উপহার কে উসূল দেখিয়ে দেনমোহরের সাথে স্বমন্বয় করে নেয়। বিয়ের পর বক্রী দোনমোহরের অর্থ নিজ তাগিদে কোন স্বামী পরিশোধ করেন না ফলে স্ত্রী তাহার দেনমোহরের পাওনা হতে আজীবন বঞ্চিত থাকেন।

Read More »

নামজারী আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।

Read More »

Recent